রামপুরহাট: বীরভূমের বগটুই গ্রামের (Birbhum Violence) নৃশংস হত্যালীলার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী সে৷ সোমবারের রাতের ঘটনায় সে-ও অগ্নিদগ্ধ (Bogtui Villege Fire) হয়েছিল৷ পোড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছিল রামপুরহাট হাসপাতালে (Rampurhat Hospital)৷ বুধবার সেই নাবালক রায়ান সেখ (নাম পরিবর্তিত) ছাড়া পেল হাসপাতাল থেকে৷ এদিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা বাঁচিয়ে পুলিসি নিরাপত্তায় অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে৷ তবে রায়ানের পরিবারের কোনও সদস্যকেই হাসপাতালে দেখা যায়নি৷ তাই পুলিসই সব ব্যবস্থা করে৷ কোনওভাবে প্রত্যক্ষদর্শীর ছবি যাতে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় না ধরা পড়ে সে ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ ছিল পুলিস৷
মঙ্গলবার এই ছেলেটির নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল৷ হাসপাতাল থেকে রোগী নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়৷ তার উপর ১৪ বছরের রায়ান তিনজন প্রত্যক্ষদর্শীর একজন৷ ছেলেটির নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে৷ সেই ‘নিখোঁজ’ রায়ান বুধবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায়৷ ছেলেটির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি৷ অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷
সোমবার রাতে বীরভূমের বগটুই মোড়ে খুন হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু সেখ৷ তাঁর মৃত্যুর কয়েকঘণ্টার মধ্যে বগটুই গ্রামে তাণ্ডব চালায় একদল যুবক৷ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি বাড়িতে৷ সেই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় আটজনের৷ নিহতদের অধিকাংশ মহিলা ও শিশু৷ ঘর বন্ধ করে আটজনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় স্তম্ভিত সারা রাজ্য৷ মঙ্গলবার সকাল থেকেই চরমে ওঠে রাজনৈতিক চাপানউতর৷ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে একসুরে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করছে বিরোধীরা৷ ঘটনার নিন্দায় বুধবার মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ বগটুইয়ের ঘটনাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে মন্তব্য করেন৷ পাশাপাশি তদন্তে রাজ্যকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন৷ অন্যদিকে আট জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম থেকেই ‘বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে’র অভিযোগে সরব তৃণমূল৷